দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (২০ নভেম্বর) করোনাতে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২২৭৫ জন। এর আগের দিন ১৯ নভেম্বর ২৩৬৪ জন এবং ১৮ নভেম্বর ২১১১ জন শনাক্ত হয়েছিল। ১৬ ও ১৭ নভেম্বর মিলিয়ে টানা পাঁচ দিন ধরে রোগী শনাক্ত হচ্ছেন দুই হাজারের ওপরে। এছাড়া গত কয়েদিনে বেড়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগী শনাক্তের হার তিন সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে শীত পড়ছে পড়ছে ভাব। শীত পড়ে গেলে পরিস্থিতি যেকোনও দিকে মোড় নিতে পারে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই এখনই রোগী শনাক্ত করে আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন ও স্বাস্থ্যবিধিতে জোর দিতে হবে সরকারকে।
তবে মৃত্যুর সংখ্যা এখনও আশঙ্কাজনক নয় বলে মনে করছেন অনেকে। তবে পরিস্থিতি ঘুরে গেলে মহামারি লেগে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মহামারি বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, একদিনের মৃত্যুর সংখ্যাকে অ্যালার্মিং বলা যাবে না। তবে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি, শনাক্তর হারটাও বেশি। এখন যা ১২ থেকে ১৪ শতাংশের মধ্যে। সেই অর্থে সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রনহীন।
তিনি আরও বলেন, শুধু বিমানবন্দরেই আমরা আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিন করতে তৎপর। কিন্তু দেশের ভেতর হাজার হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন। তাদের সংস্পর্শে যারা আসছে তাদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। অথচ মহামারি ঠেকাতে সবার আগে দরকার কোয়ারেন্টিন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, গত তিন দিনের সংক্রমণ কিন্তু হঠাৎ করে বাড়েনি। এ দিয়ে কিছু বোঝা যাবে না। আগামী সাতদিনের সংক্রমণের হারের সঙ্গে যদি তার আগের সাতদিনের মিল পাওয়া যায় তবে বলা যাবে সংক্রমণের হার বেড়েছে। পুরো করোনার সময়েই স্বাস্থ্য বিভাগের নেতৃত্বহীনতা দেখেছি। কখনোই এ বিভাগকে মহামারি প্রতিরোধের মতো নেতৃত্ব নিতে দেখিনি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস