চট্টগ্রামে ৫০ কেজি পেঁয়াজের বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ডলারে কেনা পেঁয়াজ পচে যাওয়ার কারণে এমন দুরবস্থার তৈরি হয়েছে। এমনকি টাকা দিয়ে গাড়ি ডেকে এনে ফেলেও দেওয়া হচ্ছে পচা পেঁয়াজ। এতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের সব আড়তের সামনে পড়ে আছে শত শত পচা পেঁয়াজের বস্তা। রপ্তানিকারক দেশে জাহাজ ভর্তি করার সময় কন্টেইনার সংক্রান্ত অসচেতনতার কারণে পচে যাচ্ছে সব পেঁয়াজ। ফলে কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জারিফ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আমদানিকারক মঞ্জুর মোরশেদ জানান, মাল ঠিকভাবে ডেলিভারি হচ্ছে না তাই পেঁয়াজগুলো পচে যাচ্ছে। তারপর শীপের মধ্যে তাপমাত্রাও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
পেঁয়াজের গ্যাঁজ ও পানি ঝরে সব পচে যাচ্ছে। সেই সাথে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। তাই খাতুনগঞ্জে ৫০ কেজির ওজনের বস্তার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
কয়েজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, ভাল পেয়াজ যদি আমরা বিক্রি করি ৪০-৫০ টাকা সেখানে আমরা বিক্রি করছি ১৫ টাকা, ১০ টাকা, ৫ টাকা। কিছু বস্তা হিসেবে বিক্রি করছি, আবার কিছু ফেলে দিছি। পচা পেঁয়াজের কারণে এখানে গন্ধ ছড়াচ্ছে। পচা যাওয়া পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে, এই পেঁয়াজ ফেলতেও টাকা লাগতেছে।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিন্টু জানান, কোটি কোটি টাকা লোকসান, এখন কিন্তু সরকারের মাথা ব্যথা নেই। প্রশাসনেরও মাথা ব্যথা নেই, তারা এটার সঠিক দেখভাল করছে না।
উল্লেখ্য, ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বিশ্বের নানা দেশ থেকে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ। পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজে ধরছে পচন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে