ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমান চলাচল নির্বিঘ্নে স্থাপিত হচ্ছে অটোমেটিক ওয়েদার সিস্টেম

শীতে ঘন কুয়াশা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিমান চলাচলে ব্যাপক র্বিঘ্ন ঘটে। ফলে নির্বিঘ্ন ভাবে বিমান চলাচলের জন্য হযরত শাহজালালসহ ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। সেই সাথে দেশের সকল বিমানবন্দরের রানওয়ের লাইটিং ব্যবস্থাও ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাৎক্ষণিকভাবে রানওয়ের সকল তথ্য জানার পাশাপাশি যন্ত্রের সাহায্যে অবতরণ পদ্ধতি আগের চেয়ে উন্নত হলেই কেবল বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ নিরাপদ হবে। আর সেই সাথে কমে আসবে যাত্রীদের দুভোর্গ ও এয়ারলাইন্সগুলোর আর্থিক ক্ষতি।

শীত এলেই এয়ারলাইন্সগুলোর উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়। ঘন কুয়াশায় বা ভারী বৃষ্টিতে রানওয়ে দেখা না যাওয়ায় অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায় বিমান চলাচল। ফলে শুধু শিডিউল বিপর্যয়ই নয়, যাত্রী দুর্ভোগের পাশাপাশি অন্য দেশে উড়োজাহাজ অবতরণের কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলোর।

বর্তমানে শাহজালালসহ দেশের তিন বিমানবন্দরের ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম এর ক্যাটাগরি হচ্ছে ১। ফলে ঘন কুয়াশা বা বিরূপ আবহাওয়ায় দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারের নীচে নামলে বিমানের উঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। বাকী ৪ টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে নেই কোন আইএলএস। দুভোর্গ নিরসনে দীর্ঘ দিন ধরে বিমানবন্দরের আইএলএস উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছে বিমান সংস্থাগুলো।

এভিয়েশন খাত বিশেষজ্ঞ এটি এম নজরুল ইসলাম জানান, দূর্বল ভিসিবিলিটি ল্যান্ডিংয়ের জন্য যেগুলো দরকার আমাদের কিন্তু সেগুলো নাই। বাংলাদেশে যেগুলো আছে তা হল ইন্সট্রুমেন্ট ক্যাটেগরি-১। তা দিয়ে একটি এয়ারক্রাফট ২৫০ ফিট পর্যন্ত আসতে পারে। কিন্তু তারপরে খুব রিস্কি হয়ে যায় বিমান চলাচলে। ভিসিবিলিটি যদি ভাল না থাকে, রানওয়ে যদি দেখা না যায় তাহলে এয়ারক্রাফটকে চলে যেতে হয়।

সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, বর্তমানে ঢাকাতে নতুন করে অটো ভিসিবিলিটি, ওয়েসার সিস্টেম যেমন ভিসিবিলিটি, বাতাসের পরিস্থিতি এগুলো ফোকাস করা যাবে। ডিজিটাল মোডে ও ভয়েস কমিউনিকেশনের মাধ্যমে পাইলট জানতে পারবে সরাসরি যে ওই রানওয়েতে কখন কি পরিস্থিতি আছে। শীতকে সামনে রেখে প্রত্যেক বিমান বন্দরের লাইট আপগ্রেড করা হচ্ছে। সেই সাথে যেখানে যেখানে স্বল্পতা আছে সেই স্থানগুলো আমরা পূরণ করছি।

উল্লেখ্য, গত বছর নভেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪টি ফ্লাইট বিরূপ আবহাওয়ার কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামতে না পেরে অন্য দেশে অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন