ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ মজলুম জননেতার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী

মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (মঙ্গলবার)। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। ফলে দিনটি স্মরণে ঢাকা এবং টাঙ্গাইলসহ দেশের নানা স্থানে পালিত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি।

জানা গেছে, তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনাসভা এবং দোয়া মাহফিল।

স্থানীয় প্রশাসন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

তিনি অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার এবং স্বার্থরক্ষায় আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ভাষা আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, প্রবীণ বয়সে ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা লংমার্চসহ ইতিহাসের প্রতিটি কাজেই রেখে গেছেন তাঁর কর্মের ছাপ।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। তবে সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তাঁর জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন- সারাজীবনই তিনি সাধারণ অসহায় মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মজলুম এই জননেতা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া তাঁরই উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লংমার্চে নেতৃত্ব দেন তিনি।

আজকের দিনটি স্মরণে ভাসানী ফাউন্ডেশনও বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া, কাঙালিভোজ এবং আলোচনা সভা। এ ছাড়া অনেক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শ্রদ্ধার সাথে দিবসটি পালন করবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন