শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে কমেছে জলদস্যুতা, বৃদ্ধি পাচ্ছে বাণিজ্যের পরিধি

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যাপকহারে কমেছে জলদস্যুতা। সেই সাথে দিন দিন বাড়ছে বাণিজ্যের পরিধিও। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি তদারকি বৃদ্ধিতে গত ৩ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বহির্নোঙরকেন্দ্রিক বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি ও জলদস্যুতা একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিশ্বে একমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরই ছিল জলদস্যুতামুক্ত। ফলে এ অবস্থায় জাহাজ মালিকদের আস্থা অর্জনে অত্যাধুনিক জাহাজ সংযুক্তের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে উপকূলরক্ষী কোস্টগার্ডের।

কয়েক বছর আগেও বিদেশি জাহাজ মালিকদের কাছে চট্টগ্রাম বন্দর ছিল ভয়াবহ এক আতঙ্কের নাম। বহির্নোঙর থেকে শুরু করে বন্দরের জেটিতে ঢোকা পর্যন্ত জাহাজের ক্যাপ্টেন ক্রুদের থাকতে হতো জলদস্যু আতঙ্কে। সে সাথে প্রকাশ্যে জাহাজে উঠে রশিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চুরি ছিল প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা।

কিন্তু ২০১৭ সালের পর ওই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে। বন্দর ও বাণিজ্যিক জাহাজে জলদস্যুতার ঘটনা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রিক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে জলদস্যুতা হার শূন্যের কোঠায়।

কোস্টগার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক জানান, এটা সম্ভব হয়েছে সকল ডিপ্লোমেট ও সংস্থার সহযোগিতার মাধ্যমে।

তবে এ বছর ৩টি ছোটখাটো চুরির কথা বলা হলেও বন্দরের অনুসন্ধানে এর তেমন কোনো সত্যতা মেলেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বন্দরের পক্ষ থেকে বহির্নোঙরসহ যাত্রাপথে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম। তবে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্দরের ব্যস্ততাও।

আরও পড়ুনঃ  টিকিটের শত কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে না বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো

আগে মাত্র কয়েকটি জাহাজ ও মেটাল শার্ক স্পিডবোট নিয়ে বন্দরের বিশাল জলসীমায় দায়িত্ব পালন করতে হতো কোস্টগার্ডদেরকে। কিন্তু বর্তমানে বহরে যুক্ত হয়েছে একসাথে ৯টি অত্যাধুনিক জাহাজ। ফলে এখন বিদেশি জাহাজ মালিকদের আস্থাও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চলের স্টাফ অফিসার লে. কমান্ডার শুভাশীষ দাশ জানান, সর্বদাই আমাদের একটি দল প্রস্তুত থাকে যে কোনো পরিস্থিতি বা সমস্যার মোকাবেলা করার জন্য।

তবে রিক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে সারা বিশ্বে নৌদস্যুতার ঘটনা ঘটেছে ২৯টি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন