ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে জটিলতার মুখোমুখি ইসি-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে দ্বিমুখী অবস্থান করছে ইসি-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় নেওয়ার প্রস্তাব একেবারেই সমর্থন করে না নির্বাচন কমিশন।

সংস্থাটি বলছে, এই কার্যক্রম ইসির আওতার বাইরে গেলে ভোটার তালিকা নিয়ে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এমনকি ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আরও বেশি জটিলতার মুখোমুখি হতে পারে।

জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নিজেদের আওতায় নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য ৫ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যদিও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনকে

জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অন্যতম একটি উদ্যোগ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম শুরু হয় প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বা ভোটারদের ছবি-স্বাক্ষর সম্বলিত পরিচয় পত্র দেয়ার কার্যক্রম। তবে জাতীয় এই তথ্য ভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে স্মার্টকার্ড এনআইডি। কিন্তু ইসির এই অর্জন কিছুটা ম্লান করে দেয় ভোটার তালিকায় বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশের জন্য।

এদিকে ডা. সাবরীনা কিংবা সাহেদের মত প্রতারণা মামলার আসামীদের জাল এনআইডি ইস্যুতেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। যদিও এই বিষয়ে ইসি বলছে, ১১ কোটি ভোটারের আনুপাতিক হারে অনিয়মের এই চিত্র খুবই সামান্য।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চোধুরী জানান, এ ব্যাপারে আমি এখনও কিছুই জানি না। পত্র পত্রিকায় খবরটি দেখেছি। এর বেশি কিছু আমি অবগত নই। তবে এনআইডি অন্য কারো হাতে গেলে এর ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ঘাটতি বা জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এই নির্বাচন কমিশনার।

তিনি আরও জানান, এটা কিভাবে চালাতে হয় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বর্তমানে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। এর কার্যক্রম অন্যদের হাতে চলে গেলেও বিভিন্ন প্রয়োজনেই এই ডাটাবেজ আমাদেরকে রাখতেই হবে।

ফলে আমরা কখনোই চাই না, এ ধরনের তালিকা অন্য কোনো সংস্থা থেকে আমাদেরকে আনতে হোক। তবে এনআইডি বিষয়ে সরকার চাইলে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও জানান তিনি।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন