শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজার স্থির রাখতে ৩ লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার

বাজার স্থির রাখতে চলতি বছর ৩ লাখ টন চাল আমদানি করবে সরকার। এবার বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি সরকার। কারণ, মিলমালিকরা চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে চাল সরবরাহ করেননি।

উল্টো করোনা মহামারির মধ্যেও বাজারে চালের মূল্য আরও বাড়িয়ে দেয় মিলমালিকরা। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের মূল্য বাড়তির দিকে।

এদিকে সামনে আমনের ফলনে কোনো বিপর্যয় দেখা দিলে চালের বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে  এ বছর ২/৩ লাখ টন চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জিটুজি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এসকল চাল আমদানি করা হবে। অর্থ ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই চাল আমদানির এ সিদ্ধান্ত হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে ওই সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ সংশ্লিষ্ট নানা সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভার কার্যপত্র হতে সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিতরণ চাহিদা মিটিয়ে চলতি অর্থবছর সরকারি মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলা, বর্তমানে মোটা চালের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারমূল্য এবং সকল খাদ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে চলতি অর্থবছর ২/৩ লাখ টন চাল আমদানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুনঃ  খুললো দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানান, ইতোমধ্যে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই চাল আমদানি করা হবে।

সরকারিভাবে চাল আমদানির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ জানান, আমার মনে হয় চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সঠিক হয়েছে। কারণ বাংলাদেশে চালের বাজারে একটু ঘাটতি দেখা দিলে সেটা অনেক বড় প্রভাব ফেলে। এছাড়াও সরকারের গুদামে যদি কিছুটা শর্ট দেখা দেয়, তাহলে বাইরেও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট চালের সংকট তৈরি করে। ফলে বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। তাই আমদানি করে হলেও সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুদ রাখতে হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন