মাদারীপুরে ভুতুড়ে বিলে দিশেহারা গ্রাহকরা। মিটার-রিডাররা বাসাবাড়িতে না গিয়ে তৈরি করছেন বিদ্যুৎ বিল। ফলে দিনের পর দিন হয়রানি যেন কমছেই না গ্রাহকদের। মাসের পর মাস ভূতুরে বিল দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
যদিও এই বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, অভিযোগ পেলেই নেওয়া হয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।
মাদারীপুর পৌরসভার পাকদী এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, তার বাড়িতে ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে। কিন্তু গেল ৩ মাসে ধরে এই বিলের পরিমাণ ছাড়িয়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকার ওপরে। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ জানাতে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মাদারীপুর অফিসে যান।
আনোয়ার হোসেনের মতো আরও অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত এই হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে।
বাড়িতে গিয়ে মিটার দেখে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার কথা থাকলেও তা মানছে না মাদারীপুরের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। অনেকদিন যাবত মিটার-রিডাররা অফিসে বসেই তৈরি করছেন বিদ্যুৎ বিল। তবে দু-একজন গ্রাহক বিদুৎ বিল সংশোধন করলেও বেশিরভাগ গ্রাহক বাধ্য হয়েই এই বিল পরিশোধ করছেন। ফলে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে আর্থিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
গ্রাহকের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে মাদারীপুর ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. সুবক্ত গিন জানান, অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড মাদারীপুর অফিসের অধীনে ২৬ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ৮ জন মিটার-রিডার।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে