অবশেষে গ্রেফতার হলেন এস আই আকবর। সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেটের জেলা পুলিশ কানাইঘাট উপজেলার ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে এস আই আকবরকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক সাইফুল আলম ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসআই আকবরকে সিলেটে আনা হচ্ছে। বিস্তারিত সব পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে রায়হানকে। পরেরদিন সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যুবরণ করে।
এই ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। ১৪ অক্টোবর মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হলে মরদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে। এসকল আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন এবং আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। ফলে অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়।
পরে ঘটনার দিন বিকেলে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। ফলে তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, তৌহিদ মিয়া, টিটু চন্দ্র দাস, কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই কুতুব আলী, কনস্টেবল সজিব হোসেন ও এএসআই আশেক এলাহীকে প্রত্যাহার করে তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে