দেশের ইতিহাসে জাতীয় সংসদের প্রথম বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ অধিবেশন আজ (৮ নভেম্বর) রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় একাদশ সংসদের দশম অধিবেশন। সংসদকক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রেখে এটাই সংসদের প্রথম বৈঠক।
সংসদে এটি বিশেষ অধিবেশন হলেও এর প্রথম কার্যদিবস চলবে সাধারণ অধিবেশনের মতো। অধ্যাদেশ উপস্থাপন, কয়েকটি খসড়া আইন ও বিলের প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যায় অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন। এ অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, বীরেন শিকদার, শামসুল হক টুকু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, উম্মে কুলসুম স্মৃতি। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে এদের মধ্যে অগ্রবর্তীজন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
আগামীকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্মারক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হবে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার আগে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণ সংসদকক্ষে দেখানো হবে।
বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাবও আনা হবে।
এদিকে বিশেষ অধিবেশনে সংসদকক্ষে দেশীয় বিভিন্ন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছেন না বলে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিভিন্ন জনের কাছে পাঠানো কার্ডে স্পিকার বলেছেন, ‘বর্তমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিজনিত কারণে বিশেষ অধিবেশন সশরীরে প্রত্যক্ষ করার জন্য সংসদ ভবনে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে অপরাগ হওয়ায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়নের পর স্পিকার শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস