৬৯টি শস্যগুদামের মালিকানা ছেড়ে দিয়েছে এলজিইডি। দেশে ১৯৭৮ সালে শস্যগুদাম ঋণ কার্যক্রমের অধীনে ২৭টি জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৮১টি গুদাম। এসকল গুদামের মধ্যে ১২টি ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) এবং বাকি ৬৯টি ছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)।
তবে এতদিন ডিএএম সেই গুদামগুলো ভাড়ায় পরিচালনা করে আসছিল। ৪২ বছর পর এসকল গুদামের মালিকানা হস্তান্তর করল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এলজিইডির ৬৯টি শস্যগুদামের মালিকানা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে হস্তান্তর ও ১০৬টি উপজেলায় কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এলজিইডির মালিকানাধীন ৬৯টি শস্যগুদাম হস্তান্তরের সমঝোতা স্মারকে সই করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা ও ন্যায্যদাম নিশ্চিতে সারা দেশে আরও শস্যগুদাম স্থাপন করা হবে। সেই সাথে কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণও সারা দেশে বৃদ্ধি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ নিয়ে কোনো সংকট নেই।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, কৃষি খাতকে আরও আধুনিকায়ন, গুণগত পরিবর্তন এবং প্রযুুক্তির উন্নয়নে উপজেলা পর্যায়ে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে কৃৃষকরা সারা বিশ্বে উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি, তথ্য-উপাত্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়ে কৃষিজ্ঞানে ব্যাপক সমৃদ্ধ হবেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে