ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেগুন চাষে বদলে গেল ভাগ্য

বেগুন চাষ করেই নিজের ভাগ্যকে বদলে ফেললেন চাষি জিল্লুর রহমান শান্তি। তিনি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পত্তাশী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রথমে ৭০ শতক জমিতে ভাঙ্গর জাতের বেগুনের আবাদ শুরু করেন। আর তাতেই বদলে গেল তার ভাগ্য।

জানা গেছে, তিনি এর আগেও দুই বিঘা জমিতে প্রথম কলা চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বুলবুল এবংআম্পানের তাণ্ডবে সবকিছু মিশে যায় মাটিতে। এরপর ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ইব্রাহীম সরদারের পরামর্শে তিনি বেগুন চাষ শুরু করেন।

কৃষক জিল্লুর রহমান কৃষি বেগুন চাষের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট খুলনা প্রকল্প থেকে সার ও বিজ কেনা বাবদ ১ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ পান। আর এ টাকা দিয়ে তিনি শুরু করেন ভাঙ্গর জাতের বেগুন চাষ। ৭০ শতাংশ জমিতে চারা লাগান ৮ শ’।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইব্রাহীম সরদার জানান, সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে প্রতি শতকে ২শ’ কেজি বেগুন উৎপাদন করা সম্ভব। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক জিল্লুর রহমান ৭০ শতক জমির বেগুনের ক্ষেত থেকে ১৪ মেট্রিক টন বেগুন পাবেন। যা বিক্রি করে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা আয় হবে তার।

এই ব্যাপারে জিল্লুর রহমান জানান, প্রতি সপ্তাহে ক্ষেত থেকে ১০-১২ মণ বেগুন  তুলে বাজারে তা বিক্রি করছি প্রায় ২০ থেকে ২৪ হাজার টাকায়। খরচ বাদ দিয়ে থাকে ১৬-২০ হাজার টাকার মতো থাকছে। জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত এই ক্ষেত থেকে বেগুন তুলতে পারবো। আশা করি ৪ লাখ টাকার বেশি আয় হবে আমার।

জিল্লুর রহমান আরও জানান, বেগুন চাষের ক্ষেত্রে ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দিকা নানা সময় অনেক পরামর্শ দিয়েছেন আমাকে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়রা সিদ্দিকা জানান, মহামারি করোনার প্রভাবের পর খাদ্য ও পুষ্টির অভাব পূরণে আমরা কাজ করছি। সরকারিভাবে অনেক রকমের প্রণোদনা দিচ্ছি। চাষিদের সার, বিজ, চারাসহ আর্থিক সহায়তা করছে সরকার।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন