বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুতের ১০ শতাংশই আসবে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে

দেশে বর্তমানে কয়লাভিত্তিক যেসকল বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ চলছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হচ্ছে ‘পায়রা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প’। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে এসেছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৩৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে সব মিলিয়ে পায়রা প্রকল্প থেকে মোট ২ হাজার ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। সব মিলিয়ে যা হবে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামি ২০২১ সাল নাগাদ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। তবে ইতোমধ্যে পুরনো কেন্দ্রের পাশাপাশি নতুন কিছু কেন্দ্র উৎপাদনে আসায় সক্ষমতা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার কাছে প্রায় পৌঁছে গেছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মাওলা জানান, ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত হয়ে গেছে। আমরা অফিশিয়ালি বিপিডিবিকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে অবহিত করেছি।

তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও এখনও সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে পারেনি সরকার। ফলে প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত বিদ্যুৎ গোপালগঞ্জ সাব-স্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, পায়রা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পটুয়াখালী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার ডাবল সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ লাইনের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এসকল লক্ষ্যমাত্রা দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে মুনাফা আদায় করা হচ্ছে। ফলে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন একদিকে যেমন অর্থ অপচয় করছে, অপরদিকে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র বানিয়ে পরিবেশ নষ্টের পাঁয়তারা চলছে।

আরও পড়ুনঃ  নির্মাণের ৬ মাসেই ফাটল-গর্ত

আনন্দবাজার /এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন