ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী আজ

আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। ৪৫০ বছর আগের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মুসলিম উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এর পর ৬৩ বছর বয়সে আজকের এই দিনেই অর্থাৎ ১২ রবিউল আউয়ালে তিনি ইন্তেকাল করেন। আর তাই আজকের এই দিনটিকে বিশেষ মর্যাদায় পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার। আরব সমাজ যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রহমতস্বরূপ সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পৃথিবীতে এসেছিলেন। মহানবী (সা.) নবুয়ত লাভ করেছিলেন ৪০ বছর বয়সে। বিশ্ববাসীর সকল ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ২৩ বছর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইসলামের এই বার্তা প্রচার করেন। পবিত্র কোরআন শরিফে উল্লেখ আছে, মহানবী মুহাম্মদ (সা.) কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা, মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তাঁর বিদায় হজের ভাষণ মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারি হয়ে থাকবে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয় নবী (সা.)-এর অনুপম শিক্ষার অনুসরণ ও ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে। দিনটি উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি, আধাসরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা ও কলেমা তায়্যিবা লিখিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাতে সরকারি ভবনসমূহ ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে।

এ ছাড়া দেশের সকল হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধনিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন