শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অচল ৯টি উড়োজাহাজ বিক্রির উদ্যোগ সিভিল অ্যাভিয়েশনের

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পড়ে থাকা ১২টি উড়োজাহাজ নিয়ে ভালই বিপদে পড়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। বাজেয়াপ্তের পর নিলামের বিক্রি অথবা ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই মাঝে নয়টি ডি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। কিন্তু এশিয়ান এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় বেঁধেছে বিপত্তি।

অনেক দিন যাবৎ শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অ্যাপ্রন এরিয়া দখল করে রেখেছে বেশ কয়েকটি উড়োহাজাজ। এসব উড়োজাহাজের প্রায় সবগুলোই বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সের। এর ভিতরে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, জিএমজি এয়ারলাইন্সের ১টি, এশিয়ান এয়ারলাইন্সের ১টি ও রিজেন্ট এয়ারওয়জের ২টি। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উড়োজাহাজ পার্কিং সংকটের ফলে বারবার চিঠি দেয়ার পরও এয়ারলাইন্সগুলো সাড়া না দেয়ায় এই ১২টি বিমানের মধ্যে সম্প্রতি ৯টি বিমান ডি-রেজিস্ট্রেশন করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে ডি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা হবে। তারপর নিলাম হবে এবং যেই উড়োজাহাজগুলো নিলামে তোলার অযোগ্য সেগুলো ধ্বংস করে দেয়া হবে। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখার জন্যই এগুলো সরাতেই হবে বলে জানান তিনি।

বর্তমানে এই উড়োজাহাজগুলো সরিয়ে রাখা হয়েছে। তবে বারবার হাতবদল হওয়া এশিয়ান এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ নিয়ে অসুবিধায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, এশিয়ান এয়ারওয়েজের ওই বিমানটার অবস্থা তেমন ভালো না। চাকা বসে গেছে। এটা সরাতে হলে ওই কোম্পানির সহযোগিতা লাগবে। তবে তিনি জানেন না উড়োজাহাজটার মালিকানা ঠিক কার কাছে রয়েছে। তাই তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশন কোয়ার্টারে ফ্লাইট স্টান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন যেন বিমানটির মালিকানা কার তা নিরূপণ করে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  সরকারি কর্মকর্তাদের হোম অফিস সুবিধা বাতিল

অন্যদিকে মহামারি করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানবন্দরে পড়ে থাকা তাদের ২টি উড়োজাহাজই নিবন্ধিত। খুব তাড়াতাড়ি মেরামত বা বিক্রি করে দেয়া হবে। ডিসেম্বরে ফ্লাইট চালুর প্রত্যাশা জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি। বিমান পরিবহন সংস্থাটির উপদেষ্টা আশীষ রায় চৌধুরী বলেন, তাদের দু’টি এয়ারক্রাফট বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন এরিয়ায় আছে। একটির ইঞ্জিন আসছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো চালু করা হবে আর তা না হলে এগুলো বিক্রি করে দেয়া হবে।

রিজেন্টসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে সিভিল অ্যাভিয়েশনে বকেয়া পাওনা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন