চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাব মৎস্য খামারে ইন পন্ড রেসওয়ে সিস্টেম এগ্রিকালচার (আইপিআরএস) হাই-টেক পদ্ধতিতে উৎপাদন করা মাছ যাবে ইউরোপের বাজারে। একই রকমের আইপিআরএস প্রকল্প ভারতে তিনটি এবং পাকিস্তানে চারটি আছে।
চীনের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ৬০ বিঘা আয়তনের জলাশয়ে মাছ চাষের সর্বাধুনিক আইপিআরএস পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রায় দুই মাস পূর্বে নবাব গ্রুপের স্বত্বাধিকারী আকবর হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ নয়াগোলা বুলনপুরে আইপিআরএস পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন । এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমানে চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতি চ্যানেলে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার পিস রুই, কাতল, গ্রাসকার্প, পাবদা, মনোসেক্স তেলাপিয়া, মিনার কার্প ও পাঙাশ মাছ চাষ করা হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে এ পদ্ধতির মাধ্যমে আরো জমি বাড়ানো হবে বলে জানান আকবর হোসেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের শুরুতে চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞ টিম চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে প্রকল্পের সিভিল কাজের ডিজাইন করে দেন। আইপিআরএস পদ্ধতিতে জলাশয়ের পুরো জমিকে আরসিসি কাঠামো নির্মাণ করে নদীর মতো বৃত্তাকার চ্যানেল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চ্যানেল ভর্তি পানিতে যান্ত্রিক উপায়ে স্রোত তৈরি করায় এখানে উৎপাদিত মাছের স্বাদ নদীর মাছের মতোই হবে। কারণ যান্ত্রিক উপায়ে পুকুরের যাবতীয় বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা থাকায় ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া গ্যাসমুক্ত হওয়ায় মাছের রোগব্যাধি হবে না বললেই চলে। তাছাড়া কৃত্রিম উপায়ে পানিতে অক্সিজেন মিশ্রণের ব্যবস্থা থাকায় বেশি ঘনত্বে মাছ চাষ করা যাবে।
আনন্দবাজার/এফআইবি