ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য মেলার স্থায়ী কেন্দ্র পূর্বাচলে

আগামী বছর থেকে স্থায়ীভাবে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে পূর্বাচলে। ইতোমধ্যে মেলাপ্রাঙ্গণ ‘বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়েছে। বর্তমানে মুল ফটকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসে চায়না কর্তৃপক্ষ এই প্রদর্শনী সেন্টারটি হস্তান্তর করবে। কিন্তু ২০২১ সালের আসন্ন বাণিজ্য মেলা শুরু হতে পারে আগামী মার্চ মাসে। শুধু বাণিজ্য মেলা নয়, সারা বছরই সকল ধরনের মেলা এখানেই করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

কাজের দেখাশুনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্রাংক লিং। প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজর মো. আবু মুছা জানান, এটি চমৎকার একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র হচ্ছে। কেন্দ্রের ফ্লোরে টাইলসের বিকল্প হিসেবে পিডাব্লিউ টাইলস ব্যবহার করা হচ্ছে, যার কার্যকারিতা অনেক বেশি শক্তিশালী। আমাদের কাজ ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহেই চায়না কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এ ছাড়াও পুরো হলজুড়ে কাজের দেখাশুনা করছেন চীনের প্রকৌশলী ইউ তাও। তিনি জানান, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে পানি, গ্যাস বিদুৎ এবং ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা থাকছে। এসব সরবরাহ ব্যবস্থা করা হয়েছে ফ্লোরের নিচ দিয়ে।

 তদারকি কর্মকর্তারা আরও বলেন, ফ্রেম ও স্টিল স্ট্রাকচারে তৈরি প্রদর্শনীটিতে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। উন্নত নির্মাণসামগ্রী ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। বিশাল প্রদর্শনী হলের মাঝখানে পর্যাপ্ত খোলা স্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মূল দুটি প্রদর্শনী হল করা হয়েছে খোলা জায়গায়র দুই পাশে। প্রতিটির আয়তন সাত হাজার বর্গফুট। প্রদর্শনী হলের প্রতিটিতে ৯ বর্গফুটের ৪০০ করে বুথ রাখা হবে।

এই ব্যাপারে ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান জানান, এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে ব্যয় হয়েছে ৭৯৬ কোটি টাকা। আর ব্যয়ের ৬২৫ কোটি টাকা দিয়েছে চায়না এইড অনুদান হিসেবে। আগামী মাসের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তবে এই মেলায় যাতায়াতের জন্য ঢাকা থেকে তেমন কোন ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা নেই। তাই আমাদের পরিকল্পনা আছে বাস সার্ভিস করার। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সার্কুলার বাস দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এই ব্যাপারে বিআরটিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক (ইপিবি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ইপিবির প্রদর্শনী হলের দ্বিতীয় তলায় ৫০০ স্কয়ার ফিটের সম্মেলনকক্ষের কাজও শেষ। এখানে থাকছে একটি রেস্টুরেন্ট এবং এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। আগামী বছরই এখানে আসন্ন মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। তবে জানুয়ারিতে শুরু করতে না পারলেও মার্চের মধ্যে বাণিজ্য মেলা এখানে শুরু হবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন