ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সামঞ্জস্যহীন’

বিশ্বব্যাংকের এ পূর্বাভাস বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান উত্তরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বরে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার নিজের বক্তব্য দিয়ে সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠান অর্থমন্ত্রী। সেখানেই এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের এযাবৎকালের সব প্রক্ষেপণের যদি একটি তালিকা করা হয় তাহলে দেখা যাবে, তারা যে প্রক্ষেপণগুলো করে, তা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে! এবারও সেই গতানুগতিক ধারার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

তিনি বলেছেন, অর্থবছরের তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে, এখনো ৯ মাস বাকি। করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে শ্লথগতি তৈরি হয়েছিল। সরকারের উপযুক্ত অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থা অর্থনীতিকে সুসংহত করেছে। বেসরকারি ও সরকারি ব্যয়, বিনিয়োগ, রফতানি, প্রবাসী আয়সহ অর্থনীতির প্রায় সব খাত বেশ সক্ষম অবস্থানে রয়েছে। আমরা আমাদের সক্ষমতার নিরিখে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা অর্জন করি। এবারও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে প্রমাণ করব যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রাই সঠিক।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, এ দেশের মানুষ অর্থনীতির প্রাণশক্তি, তারাই আবার প্রমাণ করবে বিশ্বব্যাংক যে প্রক্ষেপণ করেছে, তা সামঞ্জস্যহীন। সাহসী বাঙালি জাতি অতীতেও বারবার প্রমাণ করেছে, এবারও পারবে। গত ১০ বছর বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সবার ওপরে ছিল, আমরা আত্মপ্রত্যয়ী যে ভবিষ্যতেও সে ধারা বজায় থাকবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। সেখানেই বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসে রয়েছে বড় ধরনের ফারাক।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন