ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরাঞ্চল আবারও বন্যার কবলে

উত্তরাঞ্চলে সকল নদ-নদীর পানি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্যার পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এলাকাগুলো পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে বাড়ছে অসহায় মানুষদের দুর্ভোগ।

জানা গেছে, গেল কয়েক দিনে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, নাটোর এবং সিরাজগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় আবারও বাঁধ ও সড়ক ভেঙে নতুন এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মতে, উজান থেকে নেমে আসা পানির সাথে বৃষ্টি যোগ হয়ে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপকহারে অবনতি হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে গেল সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ২/৩ দিনের একটি বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সাত দিন ধরেই বন্যার পানি উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবেশ করছে।

ফলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হিসাবে, বর্তমানে যমুনেশ্বরী, ধলেশ্বরী, ঘাঘট, ছোট যমুনা, করতোয়া, পদ্মা, যমুনা ও আত্রাইয়ের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এতে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বন্যার পানি যমুনা ও পদ্মা হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে। ফলে এতে পদ্মা ও যমুনার দুই পাড়ে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি করছে।

বগুড়া জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়ার ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কুতুবপুর, কর্নিবাড়ী, চন্দনবাইশা, কামালপুর ও সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সাথে ধানসহ ফসলি জমি পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। পানি কমে আবার বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বিকেল ৩টায় ৩ সেন্টিমিটার কমে ১ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে যমুনায় পানি বেড়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন