রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুর নকশায় ত্রুটি যেন শেষই হচ্ছে না

সময় যত যাচ্ছে ততই পদ্মা সেতুর নকশায় ধরা পরছে ত্রুটি। ফলে এসব ত্রুটির কারণে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বাস্তবায়নের সময় ও ব্যয়। ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকায় শুরু হয়ে পদ্মা সেতুর বর্তমান নির্মাণব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায়। অপরদিকে সময়সীমা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়াতে ২০২১ সালেও সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে কিনা, সে নিয়েও রয়েছে ব্যাপক সংশয়।

শুরুতে পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার থাকলেও পরে তা নির্ধারণ করা হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ফলে সেতুর নকশায় পরিবর্তন আনার পর  ২০১৫ সালে শুরু হয় পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। কিন্তু শুরুর পরই আবার দেখা দেয় নকশার ত্রুটি। এতে ২২টি পিয়ারের (খুঁটি) নকশা পরিবর্তন করতে হয়। আর এ নকশা পরিবর্তন করতেই লেগে যায় দুই বছর। সেই সাথে বাড়াতে হয় ব্যয়ের পরিমাণও।

পদ্মা সেতু রেলওয়ে প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন বসানো হচ্ছে। গেল বছর এ রেললাইনের ভায়াডাক্টের পাইল নিয়েও তৈরি হয় ব্যাপক সমস্যা ।  ফলে পরিবর্তন করতে হয় এই পাইলের নকশাও। সম্প্রতি নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে পদ্মা সেতুর সংযোগস্থলে রেললাইনের উচ্চতা নিয়ে। তবে আপাতত এ নকশা সংশোধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ইতোমধ্যে রেললাইনের নির্মাণব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকায়। নকশায় নতুন সমস্যা প্রকল্পটির ব্যয় আরও বাড়িয়ে দিবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুনঃ  পণ্য পারাপারে গতি

এই ব্যাপারে পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নকশা সংশোধনের জন্য পরামর্শক নিয়োগ এবং পরে বাড়তি পাইল যুক্ত করায় সেতুর ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অপরদিকে এ কারণে প্রায় দুই বছর পিছিয়ে গেছে সেতুর নির্মাণকাজ।

এদিকে সেতু বিভাগের দাবি, মূল সেতুর কাজ প্রায় ৯০ শতাংশই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু পদ্মা সেতুর যে প্রান্তে সংযোগ সড়কের ওপর দিয়ে রেলপথটি অতিক্রম করেছে, সেখানে রেলপথটির প্রয়োজনীয় উচ্চতা রাখা হয়নি বলে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। এতে সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছেন প্রকৌশলীরা। এ কারণে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নকশা আবার পরিবর্তন করা হচ্ছে।

 শামীম জেড বসুনিয়া জানান, জটিলতাটি আসলে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের। রেললাইনের অ্যালাইনমেন্ট তৈরি করার সময় আরেকটু সতর্ক থাকলে হয়ত এটি এড়ানো যেত।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন