শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের রি-ডিজাইনের সিদ্ধান্ত

সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতুর ডিজাইনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় রেল সংযোগ প্রকল্প ‘রি-ডিজাইন’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, ত্রুটি সংশোধনের জন্য রেলের গার্ডার দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। সড়কের সাথে রেললাইনের হেডরুম উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ দশমিক সাত মিটার রেখে নতুন ডিজাইন আগামী সপ্তাহে জমা দেবে রেলওয়ে। গতকাল দিনভর পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় রেল এবং সেতু সচিব এবং প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রকৌশলীরা বৈঠক করেন। সেখানে রেলওয়ে তাদের ত্রুটি সমাধানে রি-ডিজাইন করার ব্যাপারটি তুলে ধরা হয়।

সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, আগামী সপ্তাহে রেলওয়ের রি-ডিজাইন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেন এবং রেল সংযোগ প্রকল্পের এই ভুলটি দ্রুত সমাধান করা হবে বলে জানান।

বেশ কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের হেডরুম উচ্চতার ত্রুটি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। এজন্য রেলওয়ের কাজে ব্যাপক আপত্তি জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ভায়াডাক্টের (উড়ালপথ) সাথে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের কয়েকটি জায়গায় রয়েছে সাংঘর্ষিক অবস্থা। এর মধ্যে ভায়াডাক্টের পি২৫-১ ও পি২৫-২ পিলারে সমস্যা বেশি। এ পিলার দুটি নির্মাণ করতে গিয়ে জাজিরায় নির্মিত সংযোগ সড়কের কিছু অংশ ইতোমধ্যে কেটে ফেলেছে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি)। এছাড়া এই পিলার দুটির উচ্চতা ভূমি থেকে ছয় মিটারের কম, যা সংযোগ সড়কে যান চলাচলে অনেক বাধার সৃষ্টি করবে।

এই ব্যাপারে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ম্যানুয়াল অনুযায়ী ভায়াডাক্টের উচ্চতা কমপক্ষে ছয় মিটার হতে হবে। কিন্তু পিলার দুটির উচ্চতা যথাক্রমে পাঁচ দশমিক ৫১৭ ও পাঁচ দশমিক ৭০ মিটার। এগুলোর উচ্চতা বাড়িয়ে ছয় মিটার করতে হবে। কিন্তু তা মানতে রাজি হয়নি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ  উপকূলে অর্থনীতির বিপ্লব পায়রাবন্দর

এর আগে নকশাগত জটিলতা নিরসনে রেলওয়েকে কয়েক দফা চিঠিও দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। তবে তা না মেনেই পিলার দুটির পাইলিং সম্পন্ন করেছে সিআরইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাজিরা প্রান্তে ওই অংশের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়টি সমাধানে এরই মধ্যে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তখনও সমাধান করা যায়নি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দ্রুত সমাধানের তাগিদ আসে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে খোদ প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টিতে অবগত হন। এরপর সমাধান খোঁজা শুরু হয়। তার অংশ হিসেবে গতকাল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন রেল সচিব, সেতু সচিব, পদ্মা রেলসংযোগ ও মূলসেতু প্রকল্পের দুই পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন