ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাটকল বন্ধে আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ

হঠাৎ করেই সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহ এভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। সেই সাথেপাটপণ্য রফতানি নিয়ে লুটপাটের অভিযোগও এনেছে দলটি। তারা বলেছে, পাটপণ্য রফতানি নিয়ে কী লুটপাট চলছে তার প্রমাণ দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির কাছে দেশীয় রফতানিকারকদের প্রস্তাবিত মূল্য থেকে অনেক কমে পাটপণ্য বিক্রি করা।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির এক বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে সম্প্রতি বন্ধ করে দেওয়া পাটকল সম্পর্কে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এসব কথা জানান দলটির নেতারা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আধুনিকায়ন নয়, ব্যক্তিগত উদ্দেশেই ওই সব মিল বন্ধ করা হয়েছে। পাটমন্ত্রী নিজেই থলের বিড়াল বের করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকরা পিপিপিতে আগ্রহী নয়, তাই তাদের লিজ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিকল্প প্রস্তাবসমূহ না তুলে পিপিপিতে পাটকলের আধুনিকায়নের ঘোষণা ছিল দেশবাসীর সাথে প্রতারণা।

দলটি আরও জানিয়েছে, শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে তার বড় অংশই তাদের বকেয়া পাওনা টাকা। এটা তাদের জন্য কোনো করুণা বা দয়ার দান নয়। এখনো সময় আছে পাটকলগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে রেখে তার আধুনিকায়ন করা। বঙ্গবন্ধু যেই ভিত্তিতেই বাহাত্তরে পাটকলগুলো জাতীয়করণ করেছিলেন, সেটাই তার নীতির যথার্থ অনুসরণ। পাটকল সম্পর্কিত যে নীতি সেই সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নিজেও অঙ্গীকারাবদ্ধ।

পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভায় জানানো হয়, করোনাকালে এভাবে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকুরি অবসায়নকে ‘অমানবিক’ আখ্যায়িত করে জানান, এই সময় ওই অর্থ দিয়ে তারা পেশা পরিবর্তন করতে পারবেন না। এতে ব্যক্তিমালিকদের কাছে লিজ দেওয়া মিলে অর্ধেকের বেশি কম মূল্যে তাদের শ্রম বিক্রি করে বাঁচার চেষ্টা করতে বাধ্য হবেন।

ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। আলোচনায় অংশ নেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, নুর আহমদ বকুল, মাহমুদুল হাসান মানিক, কামরুল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, হাজী বশিরুল আলম, জ্যোতি শংকর ঝন্টু, অধ্যাপক নজরুল হক নীলু ও এনামুল হক এমরান।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন