রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাগামহীন হতে পারে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি : ল্যানসেট

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি লাগামহীন হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের একটি প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ার পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক লেখিকা সোফি কাজিন্স তার প্রতিবেদনে বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে অবস্থা এখনও আসেনি।

ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে বর্ষা। অন্যদিকে ডেঙ্গু। এর মধ্যে আবার করোনা। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশজুড়ে লাগামহীনভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি’র সমালোচনাও করা হয়েছে ঐ প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফি নির্ধারণের পর পরীক্ষার হার কমে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার মানুষে ০.৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আগস্টে এসে প্রতি এক হাজার মানুষে ০.৬ হারে টেস্ট হয়েছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমিনেন্সের প্রধান শামীম তালুকদার দ্য ল্যানসেটকে বলেন, এই মহামারি বাংলাদেশের ‘অনৈতিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে’ উন্মোচিত করেছে। শুরুতে বেসরকারি খাতকে টেস্ট করতে দেওয়া হয়নি। এখন আবার ফি নেওয়া হচ্ছে। এতে গরীব মানুষরা বাদ পড়ছেন।

ঢাকার কয়েকটি কবরস্থান ঘুরে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তালুকদার। কবরস্থান পরিচালনাকারীরা জানান, সরকারি হিসাবের চেয়ে দেশে চারগুণ বেশি মৃত্যু হচ্ছে। অনেকে উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে, কিন্তু করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না।

বাংলাদেশের আইইডিসিআর-এর সাবেক পরিচালক মাহমুদুর রহমানও টেস্টের জন্য ফি নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, মহামারির সময়ে মানুষের কাজ নেই, টাকা নেই। এমন অবস্থায় সরকারের টাকা নেওয়া উচিত হচ্ছে না।

আরও পড়ুনঃ  ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর

ঢাকার আরেকজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ল্যানসেটকে বলেন, সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টেস্ট হচ্ছে, এটি আসলে কিছুই না। এই মহামারি আরো অনেক দিন থাকবে। আমি ভয় পাচ্ছি শীত আসলে কী হবে। মানুষও ভয় পাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯৪ জন। মারা গেছেন ৪ হাজার ১৭৪ জন।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন