ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে পাটপণ্যের সম্ভাবনা বাড়াতে নীতিমালার সংস্কার দাবি

বিশ্ববাজারে পাট জাতীয় পণ্যের সম্ভাবনা, রপ্তানি-সংক্রান্ত নানা বিষয়, বেসরকারি খাতে পাট শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য সরকারি নীতিমালার সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। সেই সাথে দেশীয় কাঁচামালের সদ্ব্যবহার করে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ‘সার্ভাইভিং দ্য প্যানডেমিক’ ধারাবাহিক আলোচনার বিশেষ পর্বে ‘পার্ট শিল্প: সম্ভাবনার বাস্তব রূপায়ন’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

জানা গেছে, চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) এবং ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই) যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে। চেম্বার সভাপতি এবং বিসিইর চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, জুট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রানির্ধারণ করেছেন। পাট সেক্ষেত্রে একটি বড় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি আরও জানান, পাট শুধু অর্থকরী ফসল না, এটা বহুমুখী পণ্য। পাট হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক আঁশ যা কাঁচামাল হিসেবে নানা খাতে যেমন: প্যাকেজিং, টেক্সটাইল, নন-টেক্সটাইল এবং কৃষি খাতে ব্যবহার করা হয়। তবে-অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারিনি বলে তিনি মন্তব্য করে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে রোডম্যাপ তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এই ব্যাপারে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া জানান, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। সরকার বাস্তবতার আঙ্গিকে ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমে পাট খাতকে নতুন করে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। পিপিপি বা ঠিক কোন পদ্ধতিতে বিজেএমসির পাটকলগুলো পুনরায় চালু করবে সে ব্যাপারে গঠিত কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেবে। সরকারের মূল টার্গেট হলো ব্যবসায়ীদের সহায়তা দেওয়া, উদ্যোক্তা তৈরি করা। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক কোন পদ্ধতিতে বিজেএমসির পাটকলগুলো নতুন করে চালু করব সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অন্য বক্তারা বৈশ্বিক বাজারে পাট জাতীয় পণ্যের সম্ভাবনা, রপ্তানি-সংক্রান্ত নানা বিষয়, বেসরকারি খাতে পাট শিল্পের সম্প্রসারণ, সরকারি নীতিমালার প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এবং দেশীয় কাঁচামালের সদ্ব্যবহার করে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন