আবারও ২ হাজার ডলার ছাড়ালো স্বর্ণের দাম। সর্বশেষ কার্যদিবসে মূল্যবান ধাতুটির দাম বেড়ে আউন্সপ্রতি ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদায় প্রবৃদ্ধি ও বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিলে স্বর্ণের দাম কমার দৃশ্যমান কোনো লক্ষণ নেই। ফলে আগামী দিনগুলোয় আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবান ধাতুটির দাম দীর্ঘমেয়াদে চাঙ্গা থাকতে পারে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে স্বর্ণের বাজার। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, এদিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পটমার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম উঠেছে ২ হাজার ৭ ডলার ৫০ সেন্টে। এর আগের দিনও আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৯৮২ ডলার ৮১ সেন্টে বেচাকেনা শেষ হয়েছিল স্বর্ণের।
স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠার পেছনে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। করোনা কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীন-মার্কিন রাজনৈতিক উত্তেজনা। এসব কারণে মূল্যবান ধাতুটির দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে মাইনলাইফ করপোরেশনের সিনিয়র রিসোর্স অ্যানালিস্ট গেভিন ওয়েনডেট বলেন, সাধারণত বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা কিংবা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা-এ দুই কারণে স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা হয়। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দুটো উপাদান বিদ্যমান। করোনা মহামারীতে চরম অনিশ্চিত অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে বিশ্ব অর্থনীতি। অন্যদিকে চীন-ভারত সীমান্তে রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছিল। অস্থিরতা রয়েছে দুই কোরিয়ার সীমান্তেও। বেলারুশ, থাইল্যান্ড, লেবাননসহ দেশে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। এসব কারণ আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস