শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ফেলে দেওয়া করোনা সুরক্ষা সামগ্রী

করোনা প্রতিরোধে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে সুরুক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন। সার্জিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস,গগলস এবং বাইরে বেরোলে পরছেন সুরক্ষা পোশাক বা পিপিই। তবে এসব ব্যবহারের পর বাইরে থেকে এসে সবাই একটা ব্যাগে ভরে রাখেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের নিয়মগুলো ঠিকঠাক সবাই পালন করছেন। কিন্তু তারপর এই ব্যাগ তাঁরা বাসার অন্যান্য বর্জ্যের সাথে একত্রে ময়লার ভ্যানে তুলে দিচ্ছেন।

রাজধানীর প্রায় সব পরিবারই তাদের ব্যবহৃত করোনা সুরক্ষার সামগ্রীগুলো এভাবে গৃহস্থালি বর্জ্যের ভ্যানে ফেলছেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এসব বর্জ্য প্রতিদিন নিয়ে যান প্রায় ১২ হাজার বেসরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁরা আবর্জনা নাড়াঘাঁটা করেন, মাস্ক-গ্লাভস-গগলস-পিপিইগুলোর সরাসরি সংস্পর্শে আসেন।

 এই কর্মীরা প্রতিদিন নগরীর প্রায় সব বাড়িতেই যাচ্ছেন ময়লা নিতে। তাঁরা এলাকার জন্য নির্ধারিত ময়লাঘর আর কনটেইনারে বর্জ্য রেখে যাওয়ার পর করপোরেশনের কর্মীরা সেগুলো নিয়ে ফেলেন নগরীর দুই প্রান্তে মাতুয়াইল এবং আমিনবাজারের ভাগাড়ে। এতে করনায় গণসংক্রমণের ঝুঁকি ছড়াচ্ছে তাঁদের ব্যবহৃত করোনা সুরক্ষার সামগ্রীগুলো থেকে।

এই ব্যাপারে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, বাসাবাড়ির বর্জ্যে ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রীগুলো  ময়লার সাথে মিশে যাওয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে। করপোরেশন এখন এগুলো আলাদাভাবে নিকাশের উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। এমনকি ব্যবহৃত এসব সুরক্ষা ফেলা হচ্ছে রাস্তাঘাটেও। সেই সাথে হাসপাতালের বর্জ্য শোধন নিয়েও রয়েছে অনেক প্রশ্ন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক জানান, করোনার এই পরিস্থিতিতে সুরক্ষাসামগ্রীর বর্জ্য সাধারণ বর্জ্যের সাথে মেশার ঝুঁকি সম্পর্কে গত ১৪ জুন অধিদপ্তর গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে করপোরেশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সামগ্রীগুলো দপ্তরকে সুরক্ষা বর্জ্য আলাদাভাবে নিষ্কাষণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া আছে।

আরও পড়ুনঃ  ডিএসইতে কমেছে লেনদেন

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন