কোভিড-১৯ মহামারিতে দেখা যাচ্ছে সংক্রামক রোগগুলো কোনো সীমানা জানে না এবং দুর্বল ও শক্তিশালীদের মধ্যে পার্থক্য করতে জানে না।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) লন্ডনে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (জিএভিআই)-এর ‘বৈশ্বিক টিকা সম্মেলন-২০২০’ ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে নিজের বক্তব্যে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার জিএভিআই তৃতীয় দাতা সম্মেলনের আয়োজন করেছে। যেখানে আগামী প্রজন্মকে টিকার মাধ্যমে সুরক্ষার জন্য অন্তত ৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত অর্থের সংস্থান করতে হতে পারে।
সম্মেলনের আগে থেকেই ধারণকৃত এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা জিএভিআই-কে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জানান, করোনাভাইরাসের মতো মারাত্মক ভাইরাস সমগ্র মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
জাতিসংঘের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতি চার মাস অন্তর একটি নতুন সংক্রামক রোগ মানুষের মধ্যে উদ্ভূত হয়। গ্লোবাল ভাইরোম প্রকল্পের অনুমান অনুসারে মহামারি সৃষ্টিতে সক্ষম এমন প্রায় সাত লাখ ভাইরাস পৃথিবীতে বিদ্যমান।
‘তাদের মধ্যে এমন অনেক ভাইরাস রয়েছে, যা পুরো মানব জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য নতুন নতুন ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে এবং জিএভিআই আমাদের এই যুদ্ধে সর্বোত্তম সহায়তা প্রদান করতে পারে,’ বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা জানান, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জিএভিআই বিশ্বব্যাপী ৭৬০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ১৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবন রক্ষা করেছে। ‘আমরা যদি তাদের কাজ করতে দেই, তাহলে তারা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের সাধারণ একটি ইচ্ছাই পারে টিকাদান অবকাঠামো শক্তিশালী করে ৩০০ মিলিয়ন অতিরিক্ত শিশুদের টিকা দিতে। যার মাধ্যমে জিএভিআই সমর্থিত দেশগুলোতে ৮ মিলিয়ন পর্যন্ত জীবন বাঁচতে পারবে।
এছাড়াও, ‘শুধু আমি নই, আপনি যে জিএভিআইকে সমর্থন করছেন বা সহায়তা করছেন সেটা শোনার জন্য সমগ্র বিশ্ব অপেক্ষা করছে,’ যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল গ্লোবাল ভ্যাকসিন সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব ও জিএভিআই প্রদান ড. এনগোজি ওকনজো-আইওয়ালাও বক্তব্য দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিডিও বার্তাও শোনানো হয় সেখানে।
আনন্দবাজার/শাহী