পাবনার ঈশ্বরদীতে বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচুর আঁটি। আগের বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হলেও মোকামগুলোতে পাইকারি এবং ব্যবসায়ীদের নেই কর্ম মুখরতা। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার আগাম বায়না দিয়ে লিচু বায়না করেননি ব্যবসায়ীরা। ফলে লিচু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন লিচু চাষীরা।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, কীভাবে এই পরিস্থিতিতে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে মন্ত্রী, এমপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তাদের সঙ্গে কথা চলছে।
লিচু বাগান মালিকরা জানান, অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় এবার ফলন ভালো হলেও ক্রেতা নেই। লিচুর ফুল আসা শুরুর পর অনেক বাগান কেনাবেচা হয়েছে। তবে লকডাউন শুরুর পর লিচু বিক্রির অনিশ্চয়তা থেকে বাগান দিয়ে আগাম টাকা ফেরত নিয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। বাগান ফেরত পেয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। বাগান আগাম নেওয়া ব্যবসায়ীরাই লিচুর বাজারজাতকরণ সম্পর্কে ভালো জানেন। তাই বিপুল পরিমাণ লিচু বিক্রি নিয়ে মালিকদের বেগ পেতে হবে। এছাড়া প্রত্যেক চাষি এবার লিচুর কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
উপজেলার চাঁদপুর চরের লিচু চাষি আলম হোসেম বলেন, প্রায় ১০ বিঘার ৮টা বাগান ইজারা নিয়েছি। সেখানে ১০০টির মতো লিচু গাছ রয়েছে। বাগান প্রতি ইজারা ব্যয় ও কীটনাশকসহ আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাবদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও ফলন ভালো। এরইমধ্যে কিছু গাছে লিচু পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু এবার ঢাকার পাইকাররা আসবে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, আঁটির লিচু বাজারে উঠছে। বোম্বে লিচু উঠতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। করোনা পরিস্থির কারণে পণ্যবাহী গাড়ির ভাড়া বেশি হওয়ায় এবার লিচুর পাইকার ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে লিচু ক্রয় করতে আগ্রহ একদমই কম দেখাচ্ছে। তারা এখনও তেমন একটা এ অঞ্চলে আসা শুরু করেন নাই।
আনন্দবাজার/টি এস পি