প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আম্পান-পরবর্তী সময়ে তিনটি বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয় তিনটি হলো—উপকূলের বাঁধে নজর রাখা, দুর্যোগের পর পানিবন্দি মানুষের খাবার পানি সংকট যেন না হয় এবং উদ্ধার অভিযানে যাতে শিথিলতা না থাকে।
বুধবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের (এনডিএমসি) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে শেখ হাসিনা এসব নির্দেশনা দেন। বৈঠকে সাত মন্ত্রী, ছয় সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, আইজিপি, পিএসও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক বেড়িবাঁধ ভেঙে ও ডিঙিয়ে অনেক এলাকায় লবণাক্ত পানি ঢুকে যায়। তখন পানির মধ্যে আটকে পড়া মানুষ খাবার পানির সংকটে পড়ে। তাই শুধু ত্রাণ দিলেই হবে না, মানুষ যাতে খাবার পানির সংকটে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষে সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী কার্যক্রম যেন দ্রুত এবং আন্তরিকতার সাথে পরিচালনা করা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আটকে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ যেন শিথিলতা না দেখান। সব মন্ত্রণালয়সহ তিন বাহিনীকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে যেন সমন্বয় থাকে সে বিষয়েও বিশেষ নজর রাখার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার সামগ্রিক প্রস্তুতির জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ এবং এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত স্থানীয় লোকজনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
আনন্দবাজার/শাহী