ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মীদের বেতন কেটে রাখার সিদ্ধান্ত বিমানের

করোনা প্রকোপের কারণে অনেক দিন ধরেই বন্ধ আছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল। আর একারণে প্রতিষ্ঠানটির আয় একেবারেই বন্ধ। তাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মীদের বেতন কর্তনের। বুধবার (৬ মে) কর্মীদের পাঠানো এক অফিস আদেশে বেতন কর্তনের বিষয়টি জানায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এ প্রতিষ্ঠানটি।

বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদের পাঠানো আদেশে উল্লেখ করা হয়, এয়ারলাইন্সের ক্যাজুয়াল কর্মীদের মাসিক বেতন ও ভাতা ২২ দিনের হিসাব করে দেয়া হবে। বিমানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন কাটা হবে (গ্রস স্যালারি) গ্রেড অনুযায়ী ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। ককপিট ক্রুদের মধ্যে যাদের চাকরিকাল শূন্য থেকে ৫ বছর তাদের মোট বেতনের ২৫ শতাংশ, ৫ থেকে ১০ বছর ধরে কর্মরতদের ৩০ শতাংশ এবং ১০ বছরের ঊর্ধ্বে ককপিট ক্রুদের ৫০ শতাংশ বেতন কাটার কথা বলা হয়েছে।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, বিমানে প্রেষণে (অন ডেপুটেশন) কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বেতন কর্তন করা হবে না। তবে ‘অন্যান্য ভাতা’ হিসেবে বিমান তাদের যে বিশেষ ভাতা প্রদান করে তার ২৫ শতাংশ কর্তন করা হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে বিমানের কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত ২৮ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পর্ষদের ২৩৮তম সভায় এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে বিমান শ্রমিক লীগ এর সভাপতি মশিকুর রহমান বলেন, সরকারি কোনো দফতরে বেতন কর্তন হয়নি। তাহলে বিমানের বেতন কেন কাটবে এটা আমার প্রশ্ন। তাছাড়া সরকার বিমানকে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। অন্তত প্রণোদনার কথা চিন্তা করে আমাদের পূর্ণাঙ্গ বেতন দেয়া উচিৎ ছিল তাদের।

সাধারণ ছুটি ও বিমানবন্দর বন্ধ থাকার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন