করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় দেশবাসীকে সাহস নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই যুদ্ধে সরকার জনগণের পাশে রয়েছে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তিনি তুলে ধরেছেন জাতির সামনে।
অর্থনীতির সম্ভাব্য ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য নানা প্রণোদনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের কাতারে থাকা চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তাদের বিশেষ সম্মানী এবং স্বাস্থ্যবীমার ঘোষণাও দেন তিনি।
বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশে সংক্রমিত হওয়ার পর এনিয়ে টানা তৃতীয়বার জাতির সামনে দিক-নির্দেশনা দিতে হাজির হয়েছেন তিনি।
এবার পহেলা বৈশাখ ঘরে উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সবাইকে অনুরোধ করব কাঁচা আম, জাম, পেয়ারা, তরমুজসহ নানা মওসুমী ফল সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে বসেই নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন।
“আপনারা বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাবেন না। অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন। পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করুন।
সঙ্কটময় এই পরিস্থিতি সাহসের সঙ্গে মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা ভয় পাবেন না। ভয় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। কেউ আতঙ্ক ছড়াবেন না। আমাদের সকলকে সাহসের সাথে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। সরকার সব সময় আপনার পাশে আছে।”
ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি বীরের জাতি। অতীতে নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বাঙালি জাতি সাহসের সঙ্গে সেগুলো মোকাবিলা করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। বিজয়ী জাতি আমরা। আমরা সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাসজনিত মহামারীকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।”
নববর্ষের এই ক্ষণে অতীতের জঞ্জাল-গ্লানি ধুয়ে-মুছে আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দেশবাসীকে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে, সে আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে।”
ভাষণে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার চরণ উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, মেঘ দেখ কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।
আনন্দবাজার/এফআইবি