মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঠেই লবণ ফেলে যাচ্ছেন চাষীরা

দাম সর্বনিম্ন রেকর্ড

মণপ্রতি লোকসান ৬০ টাকা

দেশে মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম অনেক দিন ধরেই নিম্নমুখী। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর কারখানা বন্ধ ও পরিবহন সংকটে এই লবণের দাম নেমে এসেছে রেকর্ড সর্বনিম্নে। বিক্রি না হওয়ার পাশাপাশি লোকসানে পড়ে দায়-দেনা এড়াতে মাঠে লবণ ফেলে যাচ্ছেন অনেক চাষীরা।কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার লবণ চাষী এখন চরম সংকটে দিন পার করছেন।

এদিকে চলমান তাপদাহের পর যেকোনো সময় বৃষ্টিপাত হলে মাঠের লবণ নষ্ট হয়ে যাবে। এজন্য চাষীদের হয় এখনই এসব লবণ বিক্রি করে দিতে হবে, নয়তো মাঠেই গর্ত করে প্লাস্টিক আবরণ দিয়ে তা মজুদ করতে হবে। কিন্তু এর জন্যও আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন, যে ধাক্কা এখন আর নিতে পারছেন না লবণ চাষীরা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), লবণচাষী ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, দেশে নিবন্ধিত লবণ চাষীর সংখ্যা এখন ৩০ হাজার ৬০০। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ১৪০ টাকা দামে লবণ বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষীর। যদিও বিসিক বলছে তাদের হিসাবে গড় দাম হচ্ছে ১৫৩ টাকা। কিন্তু প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে একজন লবণ চাষীর খরচ হয় প্রায় ২০০ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিক কক্সবাজারের উপমহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান  বলেন,  করোনার সংকটে চাষীরা লবণের ভালো দাম পাচ্ছেন না। আমরা এরই মধ্যে স্বল্প সুদে কৃষিঋণ ও এনজিও থেকে ঋণ সুবিধা নিয়ে দিতে তত্পরতা চালাচ্ছি। আশা করছি, চলমান বাণিজ্যিক সংকট কেটে গেলে লবণ চাষীরাও আবার লাভের মুখ দেখবেন।

আরও পড়ুনঃ  ৮০ ভাগ সড়ক বেহাল

এইদিকে সর্বশেষ তিন বছর আগে লাভে লবণ বিক্রি করেছিলেন চাষীরা। সে সময় পণ্যটির দামও উঠেছিল সর্বোচ্চে। কিন্তু এরপর থেকে প্রতি বছরই লোকসানে লবণ বিক্রি করছেন তারা।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন