করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে একের পর এক ক্রয়াদেশ খোয়াচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ৯৭৮ কোম্পানির অধীনে থাকা কারখানাগুলোতে ২৬৯ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল এবং স্থগিত হয়েছে।
এসব ক্রয়াদেশের আওতায় ছিলো ৮৩ কোটি ২০ লাখ পিস তৈরি পোশাক। ৯৭৮ প্রতিষ্ঠানের আওতায় আছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার পোশাক শ্রমিক। ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করা ক্রেতাদের মধ্যে প্রাইমার্কের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক প্রাইমার্কের পাশাপাশি ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করেছে ইউরোপের ছোট-মাঝারি-বড় সকল ধরনের ক্রেতারা।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো একের পর এক দেশকে লকডাউন ঘোষণা করছে। বিক্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করছে পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো। এমতাবস্থায় ভোক্তা চাহিদায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বাজার চাহিদার এ পরিস্থিতিতে নতুন ক্রয়াদেশ দিচ্ছে না কোন ক্রেতারা। শুধু তাই নয়, বাতিল ও স্থগিত করছে আগের দেয়া ক্রয়াদেশও, যার ফলে ব্যাপক মাত্রায় ক্রয়াদেশ হারাচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক খাত।
এদিকে গত বুধবার (২৫ মার্চ) জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, আমাদের শিল্প উৎপাদন ও রফতানি বাণিজ্য ব্যাহত হতে পারে। এ আঘাত মোকাবেলায় আমরা কিছু আপৎকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমি ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারবেন।
আনন্দবাজার/তা.তা