ইতোমধ্যে করোনার বিস্তার কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশে। এতে বড় বিপর্যয়ের শঙ্কার সম্ভাবনা করছে বিশেষজ্ঞরা। এখনিবিস্তার রোধে পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত শনাক্ত ও আক্রান্তকে আলাদা করা না গেলে তিন মাসেও রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা যাবে না বলে ধারণা করছে তারা। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বলছে এই সপ্তাহে রোগী শনাক্তের ব্যবস্থা চালু হবে সব বিভাগীয় শহরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রমণের বিস্তার রোধে রোগী শনাক্তে গুরুত্ব দিলেও দেশে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানেই আছে কভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাইরে কভিডের লক্ষণ থাকলেও পরীক্ষা করাতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন সরকার।
দেশে প্রথম কভিড রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এরপর আক্রান্ত-মৃত দুই সংখ্যাই বেড়েছে। এতে করে করোনা ছড়াচ্ছে কমিউনিটি পর্যায়ে। এখন পর্যন্ত ভাইরাস ছড়িয়েছে গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা মাদারীপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোন বিস্তার রোধে পরীক্ষার বিকল্প নেই। আক্রান্তকে শনাক্ত করে আলাদা করা গেলে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বড় বিপর্যয় থেকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক(হাসপাতাল) ডা. আমিনুল হাসান বলেন, মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজেস-বিআইটিআইডিতে বসানো হয়েছে পিসিআর। দুই একদিনের মধ্যেই শুরু হবে পরীক্ষা। এছাড়া এই সপ্তাহেই পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বিভাগীয় সব হাসপাতালে। আনা হচ্ছে র্যাপিড টেস্ট কিটও।
সন্দেহভাজন ব্যক্তির লালা পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হয় কভিড। একটি পিসিআর মেশিনে একসঙ্গে ৯০ জনের পরীক্ষা সম্ভব। আইইডিসিআরে পিসিআর মেশিন রয়েছে মাত্র আটটি।
আনন্দবাজার/রনি