শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় ১০ টাকায় চাল দিবে সরকার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এসময় খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করেই ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একই সাথে কম দামে ডাল ও ভোজ্যতেল বিক্রির চিন্তাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার চালে বেশি ভর্তুকি দিয়ে লকডাউনকালীন খোলাবাজারে দরিদ্র মানুষের নিকট ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে চায় সরকার। ওএমএসের ট্রাক থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে একটি পরিবার একবারে সর্ব্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা  বলেন, ‘ লকডাউনকালীন শহরের দরিদ্র মানুষের জন্য  কম দামে চাল দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের। তাই আমরা এক্ষেত্রে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থসচিবের নিকট পাঠানো হয়েছে। অর্থসচিব অনুমোদন দিলেই অর্থমন্ত্রীর জন্য সারসংক্ষেপ করা হবে। এটি খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

লকডাউনকালীন শহর এলাকায় বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ থাকবে। তাই সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে স্বল্প আয়ের দরিদ্র মানুষ। এদের কেউ রাস্তায় বসে পণ্য বিক্রি করে, কেউবা রিকশা চালায়, আবার কেউ দিনমজুর। যাদের অধিকাংশের বসবাস বস্তি এলাকায়। করোনার কারণে এদের অধিকাংশ কিছুদিনের মধ্যে বেকার হয়ে যাবে। আবার কারও আয় কমে যাবে। তাই এইসব মানুষকে রক্ষার জন্য ম্যাসিভ আকারে ওএমএস চালু করার পরিকল্পনা সরকারের। এরই অংশ হিসেবে সীমিত সময়ের জন্য হলেও শহরের দরিদ্র লোকদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ  ব্রহ্মপুত্র সেতুর স্বপ্ন

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান টিসিবি মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। আসন্ন রমজানেও অন্য বছরের তুলনায় ৭ থেকে ১০ গুণ পণ্য নিয়ে টিসিবি মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন