চালু হলো দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক। সেতুর দুইপাশে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত আধুনিক ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা’ সমৃদ্ধ ছয় লেনের ৫৫ মিটারের এ সড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সড়কটির উদ্বোধন করেন।এতে করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই সুফল পেতে শুরু করেছেন স্থানীয় মানুষরা৷
আগামী ২০ বছরের গাড়ির চাপের বিষয় বিবেচনা রেখে এই সড়কের ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে ৪টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ৪টি বড় ব্রিজ, ১৯টি আন্ডারপাসসহ বিশ্বমানের সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।এছাড়া, ৪ লেনের দুই পাশে স্থানীয় যানবাহনের চলাচলের জন্য পৃথক দুটি সার্ভিস লেন থাকায় সুবিধা পাওয়া যাবে ৬ লেনের।
মূলত রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আর সেতু পার হয়ে মাদারিপুরের পাচ্চর থেকে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার, সব মিলে ৫৫ কিলোমিটারের এই সড়কটি।কোন প্রকার ট্রাফিক সিগন্যাল কিংবা ইন্টারসেকশান না থাকায় রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া গাড়ি সেতু পার হয়ে এক টানেই চলে যাবে ভাঙা।
২০১৬ সালে কাজ ধরা হয়, শেষ হওয়ার কথা ছিলো চলতি বছরের জুন মাসে। মুজিব বর্ষের উদ্বোধন উপলক্ষে নির্ধারিত মেয়াদের আগেই খুলে দেয়া হলো এই এক্সপ্রেসওয়েটি। এই সড়ক নির্মানের প্রথম বাজেট সোয়া ৬ হাজার কোটি টাকা থাকলেও পরে সেটা দাড়ায় প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা৷
এছাড়াও এসময়, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আনন্দবাজার/শহক