করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানি বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় বরগুনার কাঁকড়া চাষি।পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসার অবস্থা তাদের।একদিকে লোকসান আর অন্যদিকে ঋণের বোঝা বেড়েই চলছে।এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন চাষিরা।
সরজমিনে দেখাযায়, বরগুনার পাথরঘাটায় এক হাজারের বেশি কাঁকড়া ঘেরে রয়েছে। গতবছর এখানে প্রায় নয় হাজার কেজি কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছে।আর এই বছরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার কেজি।
চীনে কাঁকড়ার চাহিদা ও বাজার ভালো থাকায় গত কয়েক বছরে চাষিরা গড়ে তোলেন একে একে অনেক ঘের। কিন্ত করোনার কারনে উৎপাদিত এসব কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পরিপক্ক ও ডিমওয়ালা কাকড়া ঘেরেই মরতে বসেছে।
অন্যদিকে দেশের বাজারে কাঁকড়ার চাহিদা না থাকায় দাম কমেছে কয়েকগুণ। আগে যে কাঁকড়া বিক্রি হতো ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২’শ থেকে আড়াই’শ টাকায়। এতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব চাষিরা।
শুধু কাঁকড়া চাষিই নন, তাদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে সহায়তা করে নিঃস্ব হতে বসেছে আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীরাও।কাকড়া চাষিদের সহায়তায় সরকারের হস্তক্ষেপের আশা এনজিও কর্মী ও চাষীদের।
বরগুনা সংগ্রাম-এর সহকারী ভ্যালুচেইন ফ্যাসিলিটেটরীর এক কর্মকর্তা জানান, দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা চাষিদের লোকসান হবে আর পনের থেকে বিশ কোটি টাকা আড়ৎদারদের লোকসান হবে।
এদিকে এ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশে বাজার ধরার চেষ্টা করছে মৎস্য বিভাগ।
বরগুনার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা পাথরঘাটা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, যাতে করে কাঁকড়ার না মরে এবং পোনার ডেভেলপমেন্ট একটু ধীরে ধীরে আসে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে এতে করে অন্য কোন দেশে কাঁকড়া রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।বরগুনা জেলার পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলীতে প্রায় ৭’শর মত কাঁকড়া চাষি রয়েছেন।
আনন্দবাজার/শহক