আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে পৃথিবীর সব নারীর অধিকার রক্ষায় ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ পালনের ঘোষণা দেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এ দিবসটি উদযাপন করে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এবারের নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’। মূলত নারী দিবস পালনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে নারীদের জাগ্রত করা। বেগুনি ও সাদা নারী দিবসের রঙ নির্ধারিত হয়েছে। এ দুটি রঙ নির্দেশ করে সুবিচার ও মর্যাদা, যা দৃঢ়ভাবে নারীর সমতায়ন।
১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সুঁচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় নিয়ে আশা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। এদিন আন্দোলন করার অপরাধে বহু নারী কে গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে নির্যাতিত করা হয়।
এরপর ১৯০৮ সালে জার্মানীতে এ দিনটি স্মরণে প্রথম নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়। এতে ১৭টি দেশ থেকে প্রায় ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে অংশ নিয়ে ছিলেন। এ সম্মেলনেই জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের ক্লারা প্রথমবারের মত প্রতি বছরের ৮ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্য প্রস্তাব রাখেন।
এ থেকে প্রস্তাবটি সাড়া দিয়ে ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ নারী দিবস পালিত হয়েছিল। এরপর ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের আহবান করেন।
আনন্দবাজার/এম.কে