শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে বাংলাদেশের রপ্তানি

অবশেষে গত বুধবার এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের সাথে মুক্ত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপের পার্লামেন্ট (ইইউ)। আর এই চুক্তির জন্য বেশ কিছু পণ্যের পাশাপাশি শুল্ক প্রত্যাহার হবে। এছাড়াও বাকি পণ্যে আগামী ১০ বছরে উভয় অঞ্চলের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিতে শুল্ক শূন্যে নিয়ে আসবে।

বর্তমানে ইইউ এর বাজারে তৈরি পোশাকসহ আরো কিছু পণ্যে ১২ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হতো ভিয়েতনামের পণ্যে। যদি ভিয়েতনাম ইউরোপে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি পণ্য বাড়তি প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। এদিকে ভিএন এফটিএ নামের এই চুক্তি ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের বেশ মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে, এর কারণ বাংলাদেশকে প্রধান প্রতিযোগী দেশ মনে করা হয়।

অর্থনীতিবিদেরাও জানিয়েছেন, এই চুক্তির জন্য সার্বিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ইউরোপে রপ্তানিতে বাড়তি প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। যেখানে স্বল্পোন্নত হিসেবে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে অধিক প্রভাব পড়বে। এর কারণ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বেশির ভাগেই শিল্পপণ্য রপ্তানিনির্ভর নয় বরং কৃষিপণ্যই তাদের প্রধান পণ্য।

এদিকে উদ্যোক্তারা জানান, রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তাই দ্রুতই ভিয়েতনাম ইউরোপের বাজার বিশেষ করে গার্মেন্টস বাজার দখলে নিতে পারবে। এ জন্য কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

ভিয়েতনাম ইইউ এর দেশগুলোতে গার্মেন্টস পণ্য ছাড়াও টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ও খাদ্যপণ্য, পাদুকা, ওষুধ রপ্তানি করে থাকে। ভিয়েতনামের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানায়, এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ইউরোপের বাজারে পণ্য রপ্তানি ৪৩ শতাংশ বেড়ে যাবে।

আনন্দবাজার/এম.কে

আরও পড়ুনঃ  বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম

সংবাদটি শেয়ার করুন