শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁকড়া চাষীদের মাথায় হাত

মাছ ও চিংড়ি অনেক লাভজনক ব্যবসা হলেও সম্প্রতি সেই চাষ ছেড়ে কাঁকড়া চাষে যুক্ত হয়েছেন বাগেরহাটের মৎস্য চাষীরা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে চীনে রফতানি বন্ধ হওয়ায় বিপদে পড়েছেন চাষীরা। রফতানিযোগ্য পর্যাপ্ত কাঁকড়া আছে তাদের কাছে কিন্তু চীনে পাঠাতে পাড়ছে না। এদিকে দেশের বাজারে এর চাহিদা খুব একটা না থাকায় বাজারে বিক্রি করেও তারা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পাড়ছেন না।

স্থানীয় চাষীরা জানান, এভাবে চলতে থাকতে সব হারিয়ে তাদেরকে পথে বস্থে হবে। তবে তাদেরকে মৎস্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই বলে ধৈর্য ধরার পরামর্শ  দিয়েছেন। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কাঁকড়া রফতানির করার প্রধান মৌসুম । কিন্তু চীনে করোনাভাইরাস কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে কাঁকড়া রফতানি বন্ধ রয়েছে। তাই এই কারণে সেখানকার স্থানীয় ডিপো মালিকরা কাঁকড়া কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। ২৩ জানুয়ারির আগে কেনা কাঁকড়াই তারা এখনো বিক্রি করতে পারেননি ত

আরও পড়ুন :  রমজানে বাজার নিয়ে সতর্ক হওয়ার তাগিদ

জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, বর্তমানে সাত উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে কাঁকড়ার খামার আছে ৩ হাজার ৭৭৮টি। গেল বছর এসব খামারে ২ হাজার ৩২ টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়। এছাড়াও প্রাকৃতিক উৎস থেকে ৫৯৭ টন কাঁকড়া আদায় করেছেন জেলেরা। জেলায় উৎপাদিত কাঁকড়ার ৮০ শতাংশ চীনে রফতানি করা হয়।

বাংলাদেশ কাঁকড়া সরবরাহ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অজয় দাস জানান, চীনসহ আরও কয়েকটি দেশে কাঁকড়া রফতানি হয়। তবে বেশির ভাগই রফতানি হয় চীনে। করোনাভাইরাসের কারণে দেশটিতে কাঁকড়া রফতানি বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতির সম্মুখে পড়ছি আমরা। এ অবস্থা চলমান থাকলে বাগেরহাট জেলার কাঁকড়াচাষীদের ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে যা তারা কোন দিনও তারা পুষিয়ে নিতে পারবে না।

আরও পড়ুনঃ  বিড়ি বন্ধে পাঁচ দফা দাবী

আনন্দবাজার/ এইচ এস কে 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন