শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যার পর ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আনোয়ারুলের দেহ

হত্যার পর ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আনোয়ারুলের দেহ

কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ অন্তত ৮০ টুকরায় বিভক্ত করে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার।

এ ঘটনায় সিআইডির আশঙ্কা, এমপি আনরের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।

সিআইডি গত ২২ মে আনার হত্যা মামলার তদন্তভার নেয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সিআইডি এই খুনের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি ‘কসাই’ জিহাদকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখায়। পরে আজ জিহাদকে উত্তর ২৪-পরগনা জেলার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। মূলত আনারকে হত্যার জন্য ভারতের মুম্বাই থেকে ‘কসাই’ খ্যাত জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর আনোয়ারুলকে হত্যার পর কীভাবে তাঁর মরদেহ টুকরা টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়, তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। গতকাল বনগাঁও থেকে গ্রেপ্তার হন জিহাদ হাওলাদার।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ ৮০টি টুকরো করেন কসাই জিহাদ। এরপর সেই অংশগুলো ফেলা হয় কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলাখালির বিভিন্ন স্থানে। সিআইডির আশঙ্কা, এরই মধ্যে হয়তো আনরের দেহের খণ্ডিত অংশ জলজ প্রাণীদের পেটে চলে গেছে। সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে বাস করতেন। তাঁর বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে। তাঁর বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন দুই মাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  জটিলজটে স্বাধীনতাস্মারক নির্মাণকাজ

আনারকে হত্যার পর মরদেহের টুকরাগুলো যেভাবে সরানো হয়: সিআইডি বলছে, শাহীনের নির্দেশে জিহাদসহ চার বাংলাদেশি মিলে আনারকে ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। তাঁর মরদেহ টুকরা টুকরা করে হলুদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে পথে কেউ ধরলে বলতে পারে, বাজার থেকে কেনা। উদ্দেশ্য ছিল, এভাবে গুম করা হবে, যাতে কেউ কোনো দিন তাঁর অস্তিত্ব না পায়। ১৩ মে আমানউল্লাহ, জিহাদ ও সিয়াম দুটি স্যুটকেসে এমপির দেহের টুকরাগুলো ভরে পাবলিক টয়লেটের সামনে দাঁড়ানো একটি গাড়িতে ওঠেন। সেই গাড়ির চালকও তেমন কিছু জানতেন না। পরে সিয়াম ও জিহাদকে স্যুটকেসসহ বিদায় করে আমানউল্লাহ আবার ওই ফ্ল্যাটে চলে যান। পরদিন ওই তিনজন বাকি টুকরাগুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন