শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইতিহাসে প্রথম

বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সাল শেষে সামগ্রিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে যা ছিল ৯৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।

দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, মোট ঋণের ৭৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার নিয়েছে সরকারি খাত। আর বাকিটা নিয়েছে বেসরকারি খাত। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ ঋণ দীর্ঘমেয়াদী। এছাড়া বাকিগুলো স্বল্পমেয়াদী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে তা দাঁড়ায় ৯৮ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে। এর মানে গত ৮ বছরে দেশের বিদেশি ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গত ডিসেম্বর শেষে সেটি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা শুমারির সবশেষ উপাত্ত অনুসারে, দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসাবে গত ডিসেম্বরের পরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। তবে গত জুনের হিসাবে তা ছিল ৫৭৪ ডলার। ৮ বছর আগে যা ছিল ২৫৭ ডলারের কিছু বেশি।

বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো সংস্থা এবং জাপান, চীন, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হিসাবায়নে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে শীর্ষ ঋণদাতা দেশ ছিল জাপান ও চীন। আর সংস্থার মধ্যে ঋণদানে শীর্ষে ছিল বিশ্বব্যাংক ও এডিবি।

আরও পড়ুনঃ  শেয়ার বাজার ভালো হবে এমন পলিসি নিয়ে আসুন: অর্থমন্ত্রী

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বিদ্যমান, এ অবস্থায় বিদেশি ঋণের বৃদ্ধি ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ জানাবে উল্লেখ করে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশি ঋণ বাড়ছে। এটা দেশের জন্য উদ্বেগজনক। পরিস্থিতি সামাল দিতে চীন ও রাশিয়া থেকে সাপ্লাইয়ার ক্রেডিট নেয়া বন্ধ করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন