বুধবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা!

উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় 'হামুন', জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা!

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হামুনের লঘুচাপ রূপ নিচ্ছে নিম্নচাপে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এ সপ্তাহ শেষ নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে দেশের উপকূলীয় বিভাগ খুলনা ও বরিশালের কয়েকটি জেলায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঝড়টির তীব্রতা সাধারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও চিংড়ি চাষিদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসেও অশনিসংকেত, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে। যার প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথাও জানালেন আবহাওয়া গবেষকরা। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ২৪, ২৫, ২৬ এবং এর পরবর্তী ৩ দিন খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এবং বরিশাল বিভাগের বরগুনা-এসব উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট, কোনও কোনও স্থানে ৭ ফুট পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এমন অবস্থায় আগাম শীতকালিন সবজি খেত রক্ষায় কৃষকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। উদ্যানতত্ত্ববিদ ড. জসিম উদ্দিনের বলেন, প্রথম কাজ হবে নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা। পরে পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। যাতে গোড়া পচা রোগ না হয়। মাচা শক্ত করে বেঁধে রাখতে হবে। যেন ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসে তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। পেঁপে ও কলাগাছে খুঁটি দিয়ে রাখতে হবে। যাতে ভেঙে না যায়। ক্ষতির মুখে পড়তে পারে উপকূলীয় চিংড়ি ঘের ও মৎস্য সম্পদ। তাই লোকসান ঠেকাতে চাষিদের নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা।

আরও পড়ুনঃ  ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে: এনামুল হক শামীম

মৎস্য সম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. খন্দকার আনিছুল হক বলেন, একটা পথ হলো নেট দিয়ে ঘিরে রাখা। দ্বিতীয়ত, খাবার বেশি দিতে হবে। কারণ, মাছ খেতে পেলে অন্য জায়গায় যায় না। লোনা পানি ঢুকে যেতে পারে। এটি চিংড়ির জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে সেটা বের করে স্বাদু পানি ঢোকাতে হবে।

উল্লেখ্য, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘হামুন’। নামটি দিয়েছে ইরান।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন