ঢাকা | বুধবার
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ঝরে পড়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী

কুমিল্লায় ঝরে পড়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার অধীনে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এই বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া এই ৬ জেলায় এ বছর মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৩৭২ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। ৪শ’ ৩১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১শ’ ৯২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪৭ হাজার ২শ’ ৩৭জন ছাত্র ও ৬৪ হাজার ৪শ’ ৩৫ জন ছাত্রী অংশ নেয়। এর মধ্যে মানবিক শাখায় ৫১ হাজার ৮শ’ ৩৫ শিক্ষার্থী, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩৩ হাজার ৯শ’ ৬১জন ও বিজ্ঞান বিভাগে ২৫ হাজার ৫শ’ ৭৫জন ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এইচএসসি ২০২৩ সারা দেশে শুরু হয়েছে।

এদিকে কুমিল্লা বার্ডে ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসিতে ঝরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা এর চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাছের। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর পরীক্ষায় ভীতি এবং অর্থনৈতিক টানাপোরনসহ নানান কারণে এবছর কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লক্ষ ১১ হাজার ৩শ’ ৭২ জন। ৫০ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

প্রফেসর জামাল নাছের আরো জানান, নকল রোধে এসএসসির অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এইচএসসির কেন্দ্রগুলোতে সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সেইসাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে বোর্ড অন্যান্য বছরের চাইতে এবার আরো সর্তক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি জেলায় বোর্ডের বিশেষ টিম কাজ করছে। প্রশ্নপত্রগুলো স্থানীয় প্রশাসনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে যেন কোন নাশকতা না হয় প্রশাসন, পুলিশসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কঠোর অবস্থানে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।

সকালে সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, কোথাও কোন বিশৃংখলা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। নকল প্রতিরোধসহ পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের মধ্যে চমৎকার সমন্বয়ে রয়েছে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার তো কোন প্রশ্নই আসে না। সে ব্যাপারেও যথেষ্ট নজরদারি রয়েছে। তিনি জানান, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা ছাড়াও প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্পেশাল পর্যবেক্ষক দল কাজ করছে জেলা প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে।

আর রুটিন অনুযায়ী, আগামী ২০ আগস্ট বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন