ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার আঁচ লেগেছে স্বর্ণের বাজারেও। দুই দেশের সামরিক উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ীরা। স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্সের দাম ১ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬০৩ দশমিক ৯৩ ডলার পৌছেগেছে। এই দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এর আগে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানি হামলার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তেলের দাম বেড়েছে।
এইদিকে ইরানের শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতন হয়েছে । ২ দশমিক ৭ শতাংশ ৭০ দশমিক ১০ ডলারে পৌঁছেছে ব্রেন্ড ক্রুডের ভবিষ্যৎ রফতানি মূল্য। গতকাল পর্যন্ত রিশোধিত জ্বালানি তেলে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৭১ দশমিক ৭৫ ডলার, যা কিনা ২০১৯ সালের মধ্য-সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ।
বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সি ট্রেডারের নীতি নির্ধারণক স্টিফেন ইনস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ৫২ লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের এর ঘোষণার পর ইরানের হামলার ঘটনা ঘটলো। এভাবে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিলতার দিকেই যাচ্ছে। এদিকে মার্কিন সেনা বাহিনীর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার প্রভাবেই জ্বালানি তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখি।
এদিকে আজ সকালে সোলেইমানি হত্যার বদলা নিতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এর মধ্য দিয়ে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের সূচনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অনেকেই। পরস্থিতি আরো জটিলতার দিকে অগ্রসর হওয়ার আগেই কূটনৈতিকভাবে এ দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য উভয়পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন জাপান সহ বিশ্বের অনেক দেশ।
আনন্দবাজার/শহক