নতুন বছরের শুরু থেকেই দেখা দিয়েছে ভোগ্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। বেশকিছুদিন ধরে দেশের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মসলাপণ্য পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, মূলত আমদানিকারকদের বাড়তি মুনাফা লাভের কূটকৌশলের কারণেই অস্থির হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার।
পণ্যের আড়ত ও পাইকারি দোকানগুলোতে কথা বলে জানা যায়, মাত্র ২-৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার ফের অস্থির হয়ে উঠেছে। বর্তমানে পণ্যটির দাম কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে (পাইকারি)। এ সময়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা দরে।
এর আগে একই মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৯০-১০০ টাকার মধ্যে। সেই হিসাবে মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
অন্যদিকে পেঁয়াজের পাশাপাশি লাফাতে শুরু করেছে অন্য দুটি মসলাজাতীয় পণ্য আদা ও রসুন। মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে আদা ও রসুনের দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গতকাল বাজারে প্রতি কেজি চাইনিজ আদা বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকায়। একদিন আগেও বাজারে একই মানের আদা বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে তা কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
একই সময়ে কেজিতে ২৫ টাকা বেড়েছে আমদানীকৃত চীনা রসুনের বাজার। গতকাল পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি চাইনিজ রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকার মধ্যে। একদিনের ব্যবধানে গতকাল একই রসুন বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকায়।
আননদবাজার/ইউএসএস