শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা

দেশের ১২টি (সরকারি ও বেসরকারি) বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৭ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতির মুখে পড়েছে। যার মধ্যে ৭টি ব্যাংকই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন।

গেল কয়েক বছর যাবদ দফায় দফায় মূলধনের জোগান দেয়ার পরও আবারো নতুন করে ঘাটতির মুখে পড়েছে এসব ব্যাংক। এদিকে সরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় কারণে সামগ্রিকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ব্যাংকিং খাত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঋণের প্রবৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ায় এবং খেলাপি ঋণের আধিক্যের জন্যই ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বেড়ে গেছে। আর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতেই মূলধনের সংরক্ষণ করা হয়। ১২টি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রেক্ষিতে, ১২টি ব্যাংকের মূলধনের ঘাটতি গত ৩ মাসের চেয়ে ১ হাজার ৫১১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৭ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উচ্চ খেলাপি ঋণের জন্য সেপ্টেম্বর শেষে প্রভিশন ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে এ ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে সরকারি খাতের ৭টি, বেসরকারি খাতের ৪টি এবং ১টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। এদিকে গেল বছরের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মূলধন ঘাটতির ছিল প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মূলধন ঘাটতির মুখে পড়েছে সোনালী ব্যাংক। এই ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতির পরিমান ২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এছাড়াও অগ্রণী ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি ৭৮৮ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংকে ৫৬২ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংকে ৯৩৩ কোটি টাকা ও রূপালী ব্যাংকে ৫৪৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বড় বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখছে বেপজা

অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এ বি ব্যাংকের মূলধনের ঘাটতির পরিমান ৬৫২ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতির পরিমান ৬৯১ কোটি টাকা, কমিউনিটি ব্যাংকের ঘাটতির পরিমান ৩ কোটি টাকা ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ঘাটতির পরিমান ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা।

এছাড়াও কৃষি ব্যাংকে ৯ হাজার ৭৮ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৭০১ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে।

সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বছরের পর বছর থাকতে পারবে না। আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত মেনে নেয়। যদি দুই বছর পর ওই ব্যাংককে মূলধন ঘাটতি হয় তাহলে অন্য কোনো ব্যাংকের সাথে একীভূত হতে হবে অথবা বন্ধ হয়ে যাবে।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন