শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনভারে ভরপুর পৃথিবী

জনভারে ভরপুর পৃথিবী
  • ১৫ নভেম্বর বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি
  • ধনীদের অতিমাত্রায় ভোগপ্রবণতাই বড় সমস্যা

বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে সময়ের সাথে জনসংখ্যা কমার পরিবর্তে হু হু করে বাড়ছে। এ নিয়ে অবশ্য রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্বের জনসংখ্যা আগামী ১৫ নভেম্বর দাঁড়াবে ৮০০ কোটিতে। এটি হবে মানবসভ্যতার জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। কেউ কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন করছেন যে, গ্রহ হিসেবে পৃথিবীতে ৮০০ কোটি জনসংখ্যা কি খুব বেশি? অন্যদিকে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলছেন, জনসংখ্যা সমস্যার চেয়ে পৃথিবীর ধনী বাসিন্দাদের অতিমাত্রায় সম্পদ ভোগই হচ্ছে তুলনামূলক বড় সমস্যা।

অবশ্য পাঁচ মাস আগেই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উপলক্ষে এই পূর্বাভাস দিয়েছিল জাতিসংঘ। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাতালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ, তিনি প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে যাওয়ার প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, যদিও আমি বুঝতে পারছি স্মরণীয় এই মুহূর্তটি সবাই উদযাপন নাও করতে পারেন। পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেশি বলে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আমি এখানে পরিষ্কার করে বলতে চাই, মানুষের এই সংখ্যা ভয়ের কোনো কারণ নয়। অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভয়ের পরিবর্তে, আমাদের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের গ্রহের সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন কানেম।

প্রশ্ন ওঠেছে, মানুষের সংখ্যা কি এতই বেশি, যা পৃথিবীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে? অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটা ভুল প্রশ্ন। অতিরিক্ত জনসংখ্যাভীতির চেয়ে আমাদের মধ্যকার সবচেয়ে ধনীদের এই গ্রহের সম্পদের অতিমাত্রায় ভোগের দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনের জোয়েল কোহেনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, কাদের জন্য অনেক বেশি, কিসের জন্য অনেক বেশি? আপনি যদি আমাকে এ প্রশ্ন করেন, আমি কি অনেক বেশি হয়ে গেলাম? আমি তেমনটা মনে করি না।

আরও পড়ুনঃ  নারীরা এগিয়ে এলে দুর্নীতি কমবে : প্রধানমন্ত্রী

জোয়েল কোহেন আরও বলেন, পৃথিবী কত মানুষের ভার নিতে পারে, এমন প্রশ্নের দুইটি দিক থাকে এবং তা হলো প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও আমাদের পছন্দসমূহ। আমাদের পছন্দের পরিণতি হলো, এই গ্রহ প্রতিবছর যে পরিমাণ পুনরুৎপাদন করতে পারে, এর চেয়ে মানবজাতির অনেক বেশি জৈবিক সম্পদ ভোগ যেমন বন, ভূমি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহার আরও বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।

কোহেন আরও বলেন, ‘আমরা নির্বোধ। আমাদের দূরদর্শিতার অভাব ছিল। আমরা লোভী। আমরা আমাদের কাছে থাকা তথ্য ব্যবহার করি না। এখানেই পছন্দগুলো এবং সমস্যা নিহিত।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন