সারাবছর জুড়েই অস্থিতিশীল নিত্যপণ্যের বাজার। এ বছর ভোক্তাদের সবচেয়ে বেশী ভুগিয়েছে পেঁয়াজ ও চালের দাম। সরকারি হিসেবে অনুযায়ী বছরের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২৭০ শতাংশ বেড়েছে পেঁয়াজে।
পাশাপাশি বেড়েছে ভোজ্যতেল, মাংস ও রসুনের দামও। বিশ্লেষকদের পরামর্শ মতে, আসছে বছর নিত্যপণ্য ভোক্তার নাগালে রাখতে ব্যবস্থা নিতে হবে বছরের শুরু থেকেই।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পরই বাংলাদেশের বাজারে, ঝাঁজ বেড়ে যায়, পণ্যটির। দাম বাড়তে বাড়তে ৩০ টাকার পেঁয়াজ ভোক্তাদের কিনতে হয় ২৫০ বা তারও বেশি টাকায়। সরকারি তৎপরতায় দাম কিছুটা কমালেও নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় কমছে দাম।
পেঁয়াজের পাশাপাশি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে, লবনের বাজারও। দাম বাড়ার গুজবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৫ টাকার লবন বিক্রি হয় দেড়শ টাকা পর্যন্ত। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে শাস্তি আওতায় এনে, দ্রুত বাজার শান্ত করে, ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’।
চাল বাজারে বেসামাল পরিস্থিতি বছরের প্রথম থেকেই, যা বিদ্যমান আছে বছর শেষেও। কৃষক বেশি দামে চাল বিক্রি করছে, এমন অজুহাতে প্রায় সব ধরণের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে, চার থেকে ছয় টাকা।
সারা বছর সহনীয় পর্যায় থাকলেও শেষ প্রান্তে এসে বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। বোতল ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৪ টাকা।
সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান টিসিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গেল বছরের ৩৫ টাকা রসুন ১৭৮ শতাংশ বেড়ে এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া ময়দার দাম বেড়েছে প্রায় নয় শতাংশ, মশুর ডাল ২০ শতাংশ, আলু ১০ শতাংশ, আদা ২৮ শতাংশ, গরুর মাংস ১১ শতাংশ এবং প্রায় সব ধরনের মসলার দামই বেড়েছে ৩০ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ জানান, আসছে বছর পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে, সরকার ও ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি নিতে হবে, বছরের শুরু থেকেই।
আনন্দবাজার/শাহী