বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দেশে পন্য রপ্তানির সুযোগ

তৃতীয় দেশে পন্য রপ্তানির সুযোগ

রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে ‘মার্চেন্ডাইজ ট্রেড’ নীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। এর মাধ্যমে এক দেশ থেকে পন্য কিনে সরাসরি অন্যদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো অন্যান্য দেশ থেকে পণ্য ক্রয় বা সেবা নিতে পারবেন। একই সাথে তারা তৃতীয় দেশে ওই পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি নির্ধারক বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে এবং তা দ্রুত কার্যকর করতে অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘বলবৎ এই রপ্তানি নীতি অনুযায়ী এটি এমন একটি বাণিজ্য যার মাধ্যমে একটি দেশ থেকে পণ্য বা পরিষেবা সংগ্রহ করা হয়, সরাসরি তৃতীয় দেশে পাঠানো বা বিতরণ করা হয় এবং এটিকে ‘মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তাদের ‘মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড’ গ্রাহকদের কাছে এডি’র মাধ্যমে লেনদেনমূলক পরিষেবাগুলো সহজতর করার জন্য, পরিচালনার নির্দেশিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

এ ধরনের ব্যবসা সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। নতুন নীতির মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারিত হবে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো বাণিজ্য করতে পারবে। এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। এই নীতির আলোকে, মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড বলতে ‘অন্য দেশ থেকে পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহ এবং সেই দেশ থেকে সরাসরি তৃতীয় দেশের ক্রেতাদের কাছে পণ্য ও পরিষেবার চালান’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকাসহ ৪ বিভাগে আজ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আশঙ্কা

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মার্চেন্ডাইজিং ট্রেডের অধীনে রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য রপ্তানি ফরমের প্রয়োজন হবে না। একইভাবে, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমদানি ফরমের প্রয়োজন হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন